আল্লাহ বলছেন “আমি যদি কোরআনকে পর্বতের উপর অবতীর্ণ করতাম এবং তাকে চিন্তা অনুভূতি দিতাম তাহলে ওটাও ভয়ে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যেত”

সুরা হাশরের শেষ সাতটি আয়াত (১৮-২৪) আমার খুবই প্রিয় আয়াত গুলির মধ্যে কয়টি এবং আল্লাহর রহমতে অভ্যাসটা এমন হয়ে গেছে যে মনের অজান্তেই দিনে অন্তত কয়েকবার এই আয়াত গুলো তেলাওয়াত করেই থাকি | এই আয়াত গুলো আমার ঈমান আমলের ক্ষেত্রে অনেক শক্তি এবং উৎসাহ যোগায় | বিশেষ করে ২১ নাম্বার আয়াতটি যখন আমি তেলাওয়াত করি আমার মনের মধ্যে একটি ঝাঁকি অনুভব করি, অন্তর কেঁপে ওঠে | গভীর রাতে নামাযের মাঝে কয়েক জায়গায় আমার কণ্ঠ কান্নায় জড়িয়ে যায় সুরা হাশরের শেষ আয়াত গুলো তার মধ্য অন্যতম | বিশেষ করে সুরা হাশরের ২১ নাম্বার আয়াত |

لَوْ أَنزَلْنَا هَٰذَا الْقُرْآنَ عَلَىٰ جَبَلٍ لَّرَأَيْتَهُ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْيَةِ اللَّهِ ۚ وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ – 59:21

যদি আমি এই কোরআন পর্বতের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা’আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
—-
এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন “আমি যদি কোরআনকে পর্বতের উপর অবতীর্ণ করতাম এবং তাকে চিন্তা অনুভূতি দিতাম তাহলে ওটাও ভয়ে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যেত”

অথচ, আমি চিন্তা করি আমারা মানুষ কত বড়ই না নাফারমান | মনে প্রশ্ন থেকেই যায় আমরা কি আসলেই আল্লাহ কে ভয় করি?

বড়ই ভয় হয় যদি হেদায়েতের উপর মৃত্যু বরন করতে না পারি? আল্লাহর অনুগ্রহ যদি না পাই? তাহলে কে আছে আমাকে ধ্বংস থেকে বাঁচাবে? তাইতো সব সময় দোয়া করতেই থাকিঃ

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ – 3:8

হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা।

0 replies

Leave a Reply

Want to join the discussion?
Feel free to contribute!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *